আজহারীর জনপ্রিয়তা তার সমালোচনার মূল কারণ

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : এসময়ের আলোচিত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে নিয়ে এবার মতামত দিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খান। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, সপ্তাহখানেক ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউবসহ সকল মিডিয়াতে যে নামটি সবচেয়ে আলোচিত, তিনি ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। বাংলাদেশের মাটিতে অতীতে এতো অল্পসময়ে ও তরুণ বয়সে আজহারীর মতো আলোচিত, সমালোচিত আর কোন বক্তা হয়েছে বলে মনে হয় না। আজহারীর যেমন তুমুল জনপ্রিয়তা আছে, তেমনি তার সমালোচকও আছে। আমার বিশ্লেষণে মনে হয়েছে আজহারীর জনপ্রিয়তা তার সমালোচনার মূল কারণ।

রাশেদ আরো লিখেছেন, যেখানেই আজহারী বক্তব্য দিতে উপস্থিত হয়, নিমিষেই লাখ লাখ মানুষের ভিড় জমে। এখানে মানুষ যতোটা না আজহারীর বক্তব্য শুনতে আসে, তার চেয়ে বেশি আসে তাকে একনজর দেখতে। আর তাকে দেখার জন্য মানুষের যে অভিপ্রায়, সেটি তৈরি করে দিয়েছে তার সমালোচকরা। কে এই আজহারী, তাকে নিয়ে কেন এতো আলোচনা, সমালোচনা?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই আজহারীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে চলেছে, বেড়ে চলেছে তার ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিতির সংখ্যা।
আমি আজহারীর কোন বক্তব্য এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি শুনিনি। ফেসবুকে ভাইরাল ২-৩ মিনিটের কাটকাট বক্তব্য শুনেছি। এই ভাইরাল বক্তব্যের মধ্যে কিছু ছিলো তার পক্ষে, কিছু তার বিপক্ষে। আজহারী কথা বলতে গেলে কিছু ইংরেজি শব্দচয়ন করে, যেগুলো গ্রামগঞ্জের বা অল্প শিক্ষিত লোকেরা শুনলে তাকে ভুল বোঝার কথা। বা তার তার সমালোচকরা এই শব্দগুলো দিয়ে গ্রামগঞ্জের ও অল্পশিক্ষিত লোকদের সহজে ভুল বোঝাতে সক্ষম হবে। কিন্তু যারা লেখাপড়া জানে, তাদের কাছে আবার এগুলো সহজে অনুমেয় সম্ভব। এ নিয়ে রাশেদ তার স্ট্যাটাসে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো লিখেছেন, আর যে লোকটি নিজে বলছে না সে জামায়াত শিবির, তাকে জোর করেই একপ্রকার জামায়াত শিবির বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর আমার আপত্তিই ঠিক এখানে। একজন ব্যক্তি যখন বলছেনা যে, সে জামায়াত শিবির, তাহলে জোরপূর্বক কেন তাকে জামায়াত শিবির বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? আচ্ছা, তর্কের খাতিরে না হয় মেনে নিলাম, আজহারী জামায়াত শিবির। তো আপনারাও আজহারীর মতো জামায়াত শিবির তৈরি করুন, যাদের কথা শুনতে, এক নজর দেখতে লাখ লাখ মানুষ হাজির হবে।

এই দেশে যাকে তাকে জামায়াত শিবির বলা যেন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যাকেতাকে ঘায়েল করতে চাইলে অন্য কোনকিছুতে কাজ না হলে তাকে জামায়াত শিবির বানিয়ে শায়েস্তা করতে শেষ চেষ্টা করা হয়।

Share