একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জীব প্রযুক্তির জ্ঞান অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জীব প্রযুক্তির জ্ঞান অপরিহার্য। ১৮ অক্টোবর ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত জীব প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জীব প্রযুক্তির গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে।’

জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলার এবারের প্রতিপাদ্য-‘টেকসই উন্নয়নে জীব প্রযুক্তি’ অত্যন্ত অর্থবহ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলের অংশগ্রহণে আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ১২মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি’র কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আইন পাশ করি। যার ফলে বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি কৃষি, চিকিৎসা, পরিবেশ ও শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা করে উদ্ভাবিত পণ্য ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স্থানান্তর করতে সমর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে বিশেষভাবে অবদান রাখছে। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি ইতালির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি ও সার্কভুক্ত দেশসমূহে জীব প্রযুক্তি বিষয়ে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। জেনেটিক রিসোর্স সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকার মার্চ ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে ৫০৪ কোটি টাকা বায়ে এনআইবি’র মাধ্যমে ‘জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’

এই মেলা জীব প্রযুক্তির শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জীব প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Share