খেলাপি ঋণ এই শাসনামলেই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি : মেনন

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় দেখছি, এই রাষ্ট্র কৃষক-শ্রমিক-মজুরদের নয়, সাধারণ মানুষের নয়। এটি এ দেশের লুটেরা, পুঁজিপতিদের জন্য। খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটা এই শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র, বিপ্লব ও বর্তমান বিশ্ববাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। ইতিহাসের বিপ্লবী নায়ক ভ্লাদেমির ইলিচ লেনিনের ১৪৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি এই আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘লেনিন বলেছিলেন রাষ্ট্র হবে সবাইকে নিয়ে। আমরা বলি, বাংলাদেশ কৃষকের, শ্রমিকের, মজুরদের বাংলাদেশ। ব্যাপারটা কি তা-ই? আমরা জীবনের প্রতিদিনকার অভিজ্ঞতায় দেখছি, এই রাষ্ট্র কৃষকের নয়, সাধারণ মানুষের নয়। এটি একেবারেই এ দেশের লুটেরা, পুঁজিপতিদের হাতে।’

খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটা এই শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। আজকে দেখছি খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলো নুইয়ে পড়েছে। এই রাষ্ট্র লুটেরাদের জন্য, যাঁরা কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না, বিদেশে চলে গেছেন।’

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে পুঁজির যে অবস্থা চলছে, তাতে পুঁজির মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। একমাত্র গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠেছে। এটি “ফুটলেস ইন্ডাস্ট্রি”, যা আমাদের শিল্প নয়। অর্ডার আসে আর সে অনুযায়ী পণ্য বানিয়ে দেওয়া হয়।’

পুঁজিবাদ বিকাশের নামে লুটপাট চলছে মন্তব্য করে অধ্যাপক শফিকুজ্জামান বলেন, ‘এ দেশের পাটশিল্পকে পুঁজি দিয়ে আমরা বিকশিত করতে পারিনি। আমাদের উর্বর মাটি আর মিঠাপানির মাধ্যমে নানা শিল্প গড়ে উঠত। উচ্চ প্রবৃদ্ধির নামে, লুটপাট চলছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

আলোচনায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্যরা, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share