দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের সংগ্রহ আর উইকেটের অবস্থা দেখে বিপদ আঁচ করেছিলেন অনেকেই। ব্যাটিংয়ে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশকে। চট্টগ্রাম টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে সে কঠিন পরীক্ষাই দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই শ রান তুলতেই অল আউট হওয়ার মতো অবস্থা! শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। হাতে মাত্র ২ উইকেট রেখে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ১৪৮ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকেরা।

কোনো রান তোলার আগেই ইনিংসের চতুর্থ বলে ফিরে গিয়ে পতনের শুরুটা করেছিলেন সাদমান ইসলাম। এরপর লিটন দাস ও সৌম্য সরকার মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ বলের জুটিতে দেখিয়েছেন ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা। এ জুটিতে ৩৮ রান উঠলেও মনে হয়েছিল উইকেটে জমে গেছেন দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ৬৬ বলে ১৭ রান করা সৌম্য ফেরা দিয়ে মড়ক লাগা শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংসে। লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমদের কেউ এরপর ইনিংস টানতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫২ রান এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে।

তবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন পার করতে পেরেছে নবম উইকেটে মোসাদ্দেক–তাইজুলের অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটিতে। ৭৪ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত মোসাদ্দেক। অন্য প্রান্তে তাইজুলের ব্যাটিং নজর কেড়েছে বেশি। দশে নামা এ স্পিনার ৫৫ বল খেলে এক প্রান্ত আগলে রাখেন। তাঁর নামের পাশে অপরাজিত ১৪ রানও মহামূল্যবান।

সকালের সেশনে পতনের শুরুটা করেছিলেন সাদমান। পেসার ইয়ামিন আহমদজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরে নিখুঁত লেংথের ডেলিভারিটি ছাড়তে পারতেন এ ওপেনার। উইকেট যেহেতু বিপজ্জনক তাই বল ছেড়ে ধৈর্য পরীক্ষা নিতে পারতেন সাদমান।

লিটন ও সৌম্যর জুটিতে এ পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টার প্রমাণ ছিল। কিন্তু দুই আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানকে আড়াআড়ি খেলার চেষ্টা করে আউট হয়েছেন সৌম্য ও লিটন। রান তোলার তাগিদ থেকেই শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন দুজন। কিন্তু স্কোরবোর্ড ও টেস্টের সময়ে তাকিয়ে আরেকটু ধৈর্য ধরাই যেত। নবীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সৌম্য। আর রশিদ খানের শর্ট লেংথের বল পুল করতে গিয়ে আউট হন লিটন (৬৬ বলে ৩৩)।

আফগানিস্তানের সেরা স্পিনার রশিদ খান বোলিংয়ে এসেছেন দ্বিতীয় সেশনে। নিজের পঞ্চম ওভারেই বাংলাদেশকে ফলো অনের শঙ্কায় ফেলে দেন এ লেগি। তিন বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের দুই স্তম্ভ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে ফেরান রশিদ। সাকিব (১১) রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে পারেননি। এক বল পরই মুশফিক (০) ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। বল তাঁর জুতোর মাথায় লেগে জমা পড়ে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে।

Share