দেশে করোনায় আরও ২৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩২৮৮

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দেশে নতুন করে ৩ হাজার ২৮৮ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এসব পরীক্ষায় নতুন করে ৩ হাজার ২৮৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৩৩ শতাংশ।
আগের দিন শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১১৪ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১.২৬ শতাংশ। অর্থাৎ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় ১.০৭ শতাংশ বেশি।

ডা. নাসিমা জানান, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৯ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৯৭ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ শতাংশ। সর্বশেষ মারা যাওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এদের মধ্যে হাসপাতালে ২৫ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয় তিনজনকে।

এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২ হাজার ৬৭৩ জন শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া ৭০ হাজার ৭২১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪.২৯ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৯২ জন। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭২ জন।

Share