পদ্মাসেতুর জটিলতা শুরুর দুই পিলারের পাইলিং শেষ হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : পদ্মাসেতুর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। মাওয়া প্রান্তে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের পাইলিং করতে গিয়ে দেখা দেয় প্রথম জটিলতা। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি এ দুই পিলারসহ নকশা জটিলতার সমাধান হয়।

বর্তমানে ৭ নম্বর পিলারের পাইল ড্রাইভ শেষ। এখন বাকি আছে ৬ নম্বর পিলারের পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ, যা ১-২ দিনের মধ্যে শেষ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ৭ নম্বর পিলারের সাতটি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। আর ৬ নম্বর পিলারের একটি পাইলের কাজ বাকি রয়েছে, যা শেষ হতে সময় লাগবে ১-২ দিন।

এই পিলারের একটি পাইলের হ্যামারিং বাকি আছে। পদ্মাসেতুর কাজ শুরুর দিকে এই ৬ ও ৭ নম্বর পিলারে তিনটি করে পাইল ড্রাইভ করার পর কাজ বন্ধ থাকে দীর্ঘদিন।

এরপর স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে বাকি চারটি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন করার মাধ্যমে সমাধান আসে। স্ক্রিন গ্রাউটিং করার ফলে পাইলের দৃঢ়তা বাড়ে। সয়েল দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে এই পদ্ধতি মূলত ব্যবহৃত হয়। সেতুর ৬, ৭, ১০, ১১, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ নম্বর পিলারগুলোতে স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে পাইল ড্রাইভিং হচ্ছে। স্ক্রিন গ্রাউটিং হচ্ছে ৭১টি পাইলে।

বাংলাদেশে প্রথম ও বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি সেতুতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল আছে। যার মধ্যে নদীতে ২৬২টি পাইল বসবে। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। এসব পাইলে উঠবে মোট ৪২টি পিলার।

নির্মাণাধীন স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে নয়টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ১৩৫০ মিটার (১.৩৫ কিলোমিটার)।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

Share