পুলিশের বাড়িতে বিষের শিশি নিয়ে তরুণীর অবস্থান

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : বিষের শিশি নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন তরুণী। মঙ্গলবার বিকেল থেকে তিনি এই অনশন শুরু করেন। ওই তরুণীর নাম খাদিজা আক্তার আঁখি (২১)। আর পুলিশ সদস্যের নাম জাহাঙ্গীর আলম।

খাদিজা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়ার মেয়ে। পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (২৬) একই উপজেলার ডৌহাখলার ইউনিয়নের পানাটি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।

খাদিজা জানান, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম একজন পুলিশ কনস্টেবল। তার নং-৫৪৩৯। তিনি রাজধানীর উত্তরা থানায় কর্মরত আছেন।

ওই তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে, লাশ হয়ে ফিরে যাব বাবার বাড়িতে। এজন্য বিষের শিশি সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’

খাদিজা জানান, ৬ বছর আগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে এফিডেভিট ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরে একটি ভাড়া বাসায় প্রায় ৩ মাস একসঙ্গে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীর তার পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে, ঘরে তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

কিছুদিন পর খাদিজাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর। ২য় বিয়ের ঘটনা জানার পর জাহাঙ্গীরের নিকট স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে ঘরে তুলে নেওয়ার আকুতি জানান খাদিজা। এসময় জাহাঙ্গীর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাকে নানা হুমকি প্রদান করেন।

এদিকে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের জন্য খাদিজা ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে বুধবার জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্ত থেকে কেউ রিসিভ করেননি।

জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, খাদিজার সঙ্গে তার ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজন আগে জানত না। মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে অবস্থান করার পর ঘটনাটি তারা জানতে পারেন।

Share