নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসান আল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে দেশটির রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীটির বিমানবন্দরে পৌঁছুলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে ব্রুনাইয়ের যুবরাজ হাজি আল মুহতাদী বিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হুসেইন উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে রয়্যাল গার্ডে’র একটি বিশেষ দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়। প্রধানমন্ত্রী যুবরাজকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুসজ্জিত মঞ্চ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে এম্পায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে নেওয়া হয়। সফরকালে তিনি এই হোটেলে অবস্থান করবেন।
সফরের প্রথম দিনে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হোটেলটির ইন্দেরা সামুদেরা বলরুমে ব্রুনাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনাসভায় যোগ দেবেন। একইদিন তিনি ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সোমবার সকালে ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসান আল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নূরুল ইমানে চেরাদি লায়লা কেনচানায় সুলতান ও রাজকীয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইস্তানা নূরুল ইমানে বায়তুল মেশুরায় সুলতানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এস্পায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে ব্রুনাই ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জামে আসর মসজিদ পরিদর্শন করবেন এবং এ মসজিদে আসর নামাজ আদায় করবেন। এরপর তার সম্মানে সুলতান আয়োজিত তার সরকারি বাসভবনে ভোজসভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে ব্রুনাইয়ের রাজধানীর জালান কেবাংসানের কূটনৈতিক জোনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। পরে তিনি রয়্যাল রেজালিয়া যাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ব্রুনাই থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।
সফরকালে বিভিন্ন খাতে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন খাতে ছয়টি এমওইউ চূড়ান্ত করেছি। একটি এমওইউ বিবেচনাধীন রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে ব্রুনাইয়ের বিনিয়োগ আশ্বাস পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
চূড়ান্ত এমওইউগুলো হচ্ছে: কৃষি, মৎস্য, পশু সম্পদ, যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও জ্বালানি খাতে সহায়তা ও সহযোগিতা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই সফর খুবই সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতেও এখানে আলোচনা হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। বাসস
