শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, ব্যবস্থা নিতে দুদককে নির্দেশ

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আজ সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার মানিকখালী গ্রামের হাজী আবুল হোসেনের পুত্র হুমায়ুন কবির সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২ তারিখ ২১-০৪-২০১৯। মামলাটি আমলে নিয়ে আদলত দুদক কে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায় নকিপুর খাদ্য গুদামে আমন মৌসুমী ৮০০ মেট্রিক টন চাউল সংগ্রহ করা হয়। এই আমন সংগ্রহ কাজে স্থানীয় রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মিলাদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ না করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কুষ্টিয়ার খাদ্যগুদামের পুরাতন চাউল ইস্যুকৃত ডি ও ক্রয় করে নকিপুর খাদ্য গুদামজাত করা হয়। অপরদিকে চলতি মৌসুমে শ্যামনগর উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পে সাধারণ কোটায় ২৬০ মেট্রিক টন ও বিশেষ কোটায় ১০১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওইচাল গুলো উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে ডি ও ইস্যু করা হয়। ইস্যুকৃত ডি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওসি নকিপুর খাদ্য গুদাম ১৮ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে ৩৮ টাকা কেজি দরে সরকারের কাছে বিক্রয় দেখিয়ে পুনরায় গুদামজাত করে রাখেন। এই চাউল বিতরনের মাস্টাররোল জালিয়াতি করা হয় এ ধরনের কোন প্রকল্পে কোন লেবার কে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চাউল দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া গুদাম থেকে প্রকল্পের সভাপতির কাছে চাল হস্তন্তরের কাগজে জাল সই করে বিতরন দেখানো হয়। এ সমস্ত অভিযোগ স্থানীয় দৈনিক সাতনদী তে প্রকাশিত হয় গত ৩১শে মার্চ। তাছাড়া বাদী মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর লিখিত অভিযোগ করেন এবং দুদকের হটলাইন ১০৬ অভিযোগ করেন। এছাড়াও শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন কিন্তু কোনভাবেই কোন ব্যবস্থা না হলে পাল্টা খাদ্য গুদাম ওই পুরাতন চাল গুলো নতুন বস্তায় ভরে পুনরায় গুদামজাত রাখেন। বাদী তার মামলায় আরো বলেন চলতি মৌসুমে ত্রাণের চাল হিসেবে গরীব অসহায়দের মাঝে এই পুরাতন খারাপ চাউল বিতরণ করা হবে। এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় এলাকার লোকজন এই চাল খেয়ে অসুস্থ হতে পারে তাই জনস্বার্থে বাদি এই মামলাটি দায়ের করেছেন। বাদী তার মামলায় শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, খাদ্য গুদামের দুইজন নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৬ জনকে স্বাক্ষী করেছেন। বাদীর দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে আদালত দুদককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোটের এ্যাডঃ শেখ ত্বোহা কামাল।ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মামলার বাদী হুমায়ুন কবির বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন তাই তিনি তার একজন সৈনিক হিসাবে দূর্নীতির বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়েছেন।

Share