সাগরে লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সাইক্লোন ‘আম্ফান’ গতিপথ পরিবর্তন করলেও বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে সৃষ্ট এই লঘুচাপটি যে কোনো সময়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

আগামী রবিবারের মধ্যে এটা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দিক পরিবর্তন করতে পারে। তখন ভয়াল রূপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করতে পারে এটি।

তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানতে পারে তা গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস, ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর আবহাওয়ার পূর্বাভাস, কানাডার আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস, জার্মানির আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস উদ্ধৃত করে আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, লঘুচাপ থেকে যে নিম্নচাপটি হতে যাচ্ছে এটা শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১৯ কিংবা ২০ মে কোনো এক সময়ে উপকূলে আঘাত করতে পারে এটি।

মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইসিএমডব্লিউএফ) আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশ করছে যে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে অন্যান্য আবহাওয়ার মডেলগুলো ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আমেরিকার মডেল নির্দেশ করছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। কানাডার মডেল বলছে, এটি সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, এটি ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা আজ শুক্রবার বোঝা যাবে। কারণ অনেক সময় নিম্নচাপেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারায়।

এদিকে আজ শুক্রবার দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

Share