সাবরিনার ‘ফেসভ্যালু’ ব্যবহার করে কাজ বাগিয়ে নেন আরিফুল

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা টেস্ট জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে ব্যবহার করে তার স্বামী একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী করোনা পরীক্ষার কাজ বাগিয়ে নেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান এ তথ্য।

তিনি জানান, সাবরিনার ফেসভ্যালু ব্যবহার করে তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ বাগিয়ে নেন এবং করোনা টেস্টের নামে ভুয়া সনদ বিক্রি শুরু করেন। রিমান্ডে তারা যেসব তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনা টেস্ট জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরিফ-সাবরিনা দম্পতিকে এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।

জানা গেছে, আরিফ ও সাবরিনা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে করোনা টেস্টের ও দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার চাহিদা দেখে আরিফুল হক চৌধুরী জেকেজিতে পিসিআর মেশিন বসানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেন। সেটি পেতে স্ত্রীর প্রভাব কাজে লাগান।

জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুর জানান, পিসিআর মেশিন পাওয়ার মৌখিক অনুমোদনও তারা পেয়েছিলেন। তবে মানুষের দ্রুত টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার চাহিদা দেখে তাদের কর্মচারীরা ভুয়া সনদ তৈরি শুরু করে বলে দাবি করেন তিনি। এরই মধ্যে তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা শুরু হলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, জেকেজি বুথ স্থাপন করে বিনামূল্যে করোনা নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। এসব নমুনা টেস্ট না করেই লোকজনকে টাকার বিনিময়ে করোনার ভুয়া সনদ দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এক ভুক্তভোগী তেজগাঁও থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২৪ জুন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে ওইসব ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মোট চারটি মামলা হয়। ১২ জুলাই জেকেজির জালিয়াতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডা. সাবরিনাকে। ওই মামলাটি শুরুর দিকে তেজগাঁও থানা পুলিশ তদন্ত করলেও বর্তমানে তা ডিবির তেজগাঁও বিভাগ তদন্ত করছে।

Share