স্বাস্থ্যের ডিজি বিতর্কের মুখে বিদায়

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সচিব বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে পদত্যাগপত্রে তিনি কী লিখেছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যর্থতার পাশাপাশি কেনাকাটায় নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে ডিজি সমালোচিত হচ্ছিলেন। এসব নিয়ে তীব্র বিতর্ক ও বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পদত্যাগ করলেন তিনি।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তিনি অবসরে যান। তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) বাতিল করে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল তাকে দুই বছরের চুক্তিতে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। এ হিসাবে আগামী বছর ১৫ এপ্রিল তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ডা. আজাদের পদত্যাগের পর নতুন ডিজি কে হচ্ছেন, তা নিয়ে স্বাস্থ্য খাতের সর্বত্রই ব্যাপক আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সরকারের হাইকমান্ড চুলচেরা বিশ্নেষণ করছেন। কারণ ডিজি হিসেবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, চলমান করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের নেতৃত্ব তাকেই নিতে হবে। এর জন্য যোগ্যতার পাশাপাশি সততাও রয়েছে- এমন একজনকে খোঁজা হচ্ছে।

যে কারণে সরে গেলেন ডিজি : সরকারের হাইকমান্ড মনে করেন, করোনা পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ কারণে শুরু থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন যথাযথ হচ্ছিল না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিবসহ অন্য কর্মকর্তাদের কেউই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নয় কিংবা তাদের এ সম্পর্কিত জ্ঞানও সীমিত। এ কারণে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে তারা ডিজির নেতৃত্বে জনস্বাস্থ্যবিদদের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন এবং সংক্রামক ব্যাধি আইনেও এ বিষয়টি উল্লেখ আছে। কিন্তু একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তিনি সারাদেশের মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। শুরু থেকে ডিজি নমুনা পরীক্ষার দায়িত্ব আইইডিসিআরের ওপর ছেড়ে রেখেছিলেন। অথচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা পরীক্ষা কিংবা সংবাদ সম্মেলন করা আইইডিসিআরের কাজের মধ্যেই পড়ে না। আইইডিসিআরের মূল কাজ রোগতাত্ত্বিক গবেষণা করা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংসহ সার্বিক বিষয় মনিটরিং করা এবং সে অনুযায়ী করণীয় সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। তার ওই সিদ্ধান্তটি ছিল চরম ভুল। একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানের হাতে নমুনা পরীক্ষা থাকায় আক্রান্ত সবাইকে পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে সর্বত্র রোগটি ছড়িয়ে দিয়েছেন। চীনে সংক্রমণের পর সারাদেশে নমুনা পরীক্ষার পরিধি সম্প্রসারণ করলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। একই সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক আইসোলেশন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শয্যা নিশ্চিত করতেও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ডা. আজাদ। আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন শয্যা প্রস্তুত থাকার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি যে ফাইল পাঠিয়েছিলেন, তা ছিল ভিত্তিহীন। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল তদন্ত করে দেখতে পায় যে, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, সেগুলো ছিল স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত ভবন। অনেক ভবনে নূ্যনতম সুবিধাও নেই। এমনকি কোনো শয্যারও ব্যবস্থা করা হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী দ্রুত আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন শয্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। এর পরই টনক নড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পাশাপাশি রাজধানীর আরও কয়েকটি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড করা হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাপনা নিয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ ছিল সিদ্ধান্তহীন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ডা. আজাদের আগ্রহেই জেকেজি হেলথ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজে যুক্ত করা হয়। ওই নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অথচ অনুমোদন দেওয়ার আগে ডিজি ওই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তার সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সর্বশেষ রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেন, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তির আগে তিনি সাহেদকে চিনতেন না। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস কক্ষে সাহেদের সঙ্গে একাধিকবার তার বৈঠকের ছবি ভাইরাল হয়েছে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিকে কৈফিয়ৎ তলব করে জানতে চায় মন্ত্রণালয়। সেখানে তিনি সাবেক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের নাম বলেছেন। কিন্তু আসাদুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরকম নানা ঘটনায় সরকার ডিজির ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

কেনাকাটায়ও ছিল দুর্নীতির সিন্ডিকেট : করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রথমে এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি আলোচনায় আসে। এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে বদলি এবং মুগদা মেডিকেলের পরিচালককে ওএসডি করা হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিম্নমানের মাস্ক ও পিপিই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ মে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদউল্লাহকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে গত ৪ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে বদলি করা হয়। অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রায় এক ডজন কর্মকর্তাকে ধাপে ধাপে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পসহ মোট চারটি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিশ্বব্যাংকের ওই প্রকল্পে কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে তাকে সরানো হয় বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।

কেনাকাটায় জড়িতরাও ছিল ডিজির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে : সিএমএসডির মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকার বিভিন্ন চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় জড়িতদের ডিজি সবসময় আগলে রেখেছেন। কেনাকাটার বিস্তারিত তুলে ধরে সিএমএসডির বিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদউল্লাহ গত ৩০ মে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং সিএমএসডি কী কী কেনাকাটা করবে, সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কখনোই সঠিক কোনো পরিকল্পনা করেনি। ক্রয় প্রক্রিয়া কীভাবে অনুসরণ করা হবে, অর্থের সংস্থান আছে কিনা, স্পেসিফিকেশন কী হবে, কী পরিমাণ সামগ্রী ক্রয় করতে হবে- এ-সংক্রান্ত কোনো দিকনির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় সিএমএসডি মৌখিকভাবে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে তা হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সিএমএসডি-কেন্দ্রিক কেনাকাটা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে মারাত্মক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেপথ্যের নির্দেশনায় পুরো ৯০০ কোটি টাকার ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডা. সামিউল ইসলামের ঠিক করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোই সিংহভাগ কাজ পায়। প্রতিটি পণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ গুণ বাড়তি দেখানো হয়েছে। একসেট এক্সামিনেশন হ্যান্ড গ্লাভসের দাম দেখানো হয়েছে ৩৬ টাকা। অথচ ৫০ জোড়া এ ধরনের গ্লাভসের বাজার মূল্য মাত্র ১৮০ টাকা। ১২০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যের রেইনকোট জাতীয় পণ্য কিনে পিপিই বলে হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। পিসিআর মেশিন ক্রয় করা হয়েছে পুরোনো ২০০৯ সালের মডেলের। ওই মেশিনের মান নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দুটি হাসপাতালের পরিচালকও অভিযোগ করেছেন। একাধিক সূত্র বলছে, ৯০০ কোটি টাকা কেনাকাটার কথা বলা হলেও তার অর্ধেক পরিমাণ টাকার সামগ্রীও কেনা হয়নি। বাড়তি মূল্য দেখিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে জোগসাজশ করে পুরো টাকা লোপাট করা হয়। এই চক্রটিই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও জড়িয়ে পড়েন। সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পুরো সিন্ডিকেটটিই মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের অনুসারী। এ কারণে সংশ্নিষ্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন কর্মকর্তাদের কেনাকাটা থেকে নিয়োগসহ সব প্রক্রিয়ার সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে এবং মহাপরিচালকের নেপথ্যের নির্দেশনায়ই পুরো প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘটনায় ডিজির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সরকার। পদত্যাগের বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এর আগে গত ৪ জুন তিনি সমকালের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে মহাপরিচালকের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে- এমন গুঞ্জনের বিষয় তুলে ধরলে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ওইসব গুঞ্জনে কান দেওয়ার সময় পাই না। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওইসব গুঞ্জনে কান না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতে করোনা মোকাবিলায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো সংকট নেই। আবার সারাজীবন আমাকে এই পদে থাকতে হবে- বিষয়টি এমন নয়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহলও এ ধরনের গুজব ছড়াতে পারে।

যেসব দুর্নীদিবাজ সিন্ডিকেটকে তিনি এতদিন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছিলেন তাদেরও কি সরিয়ে দেওয়া হবে- এই প্রশ্ন এখন স্বাস্থ্য খাতের সবার মুখে মুখে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিজির পদত্যাগের পর দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্বপদে থাকতে এরই মধ্যে তারা বিভিন্ন জায়গায় লবিং-তদবির শুরু করেছেন।

সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ কর্মকর্তাকে সরিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো উচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে স্বাস্থ্য খাতে গতি ফিরে আসবে। যে পরিমাণ বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে দেওয়া হয়, তা যথাযথভাবে ব্যয় করা হলে জনগণের দোরগোড়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

Share