২০৩৪ সালের বাজেট হবে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘২০৩৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট হবে প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী গুড প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট ফোরাম আয়োজিত সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছরে ৫ লাখ কোটি টাকার অধিক বাজেট দিয়েছি। আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন, ইনশাআল্লাহ্ ২০৩৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাজেট হবে এক ট্রিলিয়ন ডলার।’

তিনি ২০৩৪ সালের জন্য বাজেটের আকারের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এটি সম্ভব, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং জনগণ এর সুফল পাবে। এটি একটি স্বপ্ন এবং এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। তবে প্রধান উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই মধ্য আয়ের দেশ হয়েছি এবং এখন ভারত, ব্রাজিল, চীন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনের মতো আমাদেরকেও উন্নয়নশীল দেশ হতে হবে। এখন শহর এবং গ্রামে সকল ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। সরকার চাচ্ছে, শহর ও নগরবাসী যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে, গ্রামবাসীরাও যেন সেই সুবিধা ভোগ করতে পারে। আশা করি, দুই দিনব্যাপী এই সেমিনার সরকারকে এগিয়ে যাবার পথ দেখাবে, সরকার নতুন ধারনা পাবে এবং সরকার এগিয়ে যেতে পারবে।’

অর্থমন্ত্রী তার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় গত বাজেট বক্তব্য পুরোটা দিতে পারিনি।’ তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, ‘কেউ যেন আর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়।’ অর্থমন্ত্রী অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে ভিয়েতনাম, ভারত এবং সিঙ্গাপুর সফর করতে যাবেন, এডিবি অ্যাওয়ার্ডেড প্রকল্পের এমন দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তার নাম অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ সমাপনী বক্তব্য রাখেন। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ অ্যাওয়ার্ডেড প্রকল্পের স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাদের ভাল কাজের এই স্বীকৃতি দেশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

এর আগে অর্থমন্ত্রী সেরা প্রকল্প এবং প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন।

Share