সরকারি জমি অবৈধ দখলের সাজা বাড়ছে, আইন সংশোধন হচ্ছে

নিজস্ব বার্ত প্রতিবেদক : জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি–স্থাপনা দখল পুনরুদ্ধার আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাস দুয়েকের মধ্যে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রস্তাবিত আইনে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও স্থাপনা অবৈধ দখল করলে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার জরিমানার কথা বলা আছে। ১৯৭০ সালে (পাকিস্তান আমলে) প্রণীত বিদ্যমান এই আইনটিতে ‘এক হাজার রুপি’ জরিমানার কথা বলা আছে।

খসড়ায় আইনের ৭ দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি বা স্থাপন অবৈধভাবে দখল করলে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে পারবেন। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলে তিনি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডে বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মামলার বিচারকাজ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং মামলা মোবাইল কোর্টে পরিচালনা ও নিষ্পত্তি করা যাবে।

অবৈধ দখলের কারণে ভূমি বা স্থাপনার কোনো ক্ষতি হলে জেলা প্রশাসন বিধিমোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করতে পারবেন বলেও প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইনটি খসড়া তৈরি করে তা মতামত ও সুপারিশ গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে তাতে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রস্তাবে আরও বলা আছে, কোনো ব্যক্তি সরকারি ভূমি বা স্থাপনা ইজারা নিয়ে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভূমি বা স্থাপনার দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় জেলা প্রশাসক দখলকারীকে ৩০ দিনের মধ্য দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেবেন। এ অবস্থায় দখল না ছাড়লে জেলা প্রশাসক স্থাপনা বা ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করতে পারবে। কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে সরকারি জমি বা স্থাপনা দখল করলেও একই পদ্ধতিতে তাঁকে উচ্ছেদ করা যাবে।

জানতে চাইলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ বলেন, বিদ্যমান আইনটি ১৯৭০ সালে প্রণীত। যে কারণে এই আইনের বেশ কিছু ধারা প্রয়োগযোগ্য নয়। সে জন্যই আইনটি সংশোধন করে যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Share