পারিশ্রমিক ছাড়া গান নয় : পক্ষে-বিপক্ষে

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : গানের মালিকানা কার? এই প্রশ্ন বহুবার উঠে এসেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের আন্দোলনও করতে দেখা গেছে। একবার নয়, একাধিকবার। দফায় দফায় হয়েছে গানের প্রকাশক ও অডিও-ভিডিও প্রযোজকদের সঙ্গে গান ও অ্যালবামের সংশ্নিষ্টদের মতবিনিময়। কপিরাইট আইন ও রয়্যালিটি বিষয়ে কথা-চালাচালির পাশাপাশি বাগ্‌বিতণ্ডাও কম হয়নি। কিন্তু এতকিছুর পর আজও কপিরাইট আইনের সুরাহা হয়নি- এমন দাবি দেশের অসংখ্য শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, মিউজিশিয়ানের। যেজন্য তাদের মুখে বঞ্চনার কথা শোনা যাচ্ছে বহু বছর ধরে। আরও একবার গানের কপিরাইটের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন এক ঘটনায়।

সম্প্রতি দেশের শতাধিক কণ্ঠশিল্পী একজোট হয়ে দাবি তুলেছেন, ‘টাকা ছাড়া গান গাইবেন না’। শুধু তাই নয়, এটাকে তারা নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায় ও বাঁচার লড়াই হিসেবে দেখছেন। তাদের কথায়, করোনার এই মহামারিতে ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য ওয়েবের মাধ্যমে ফ্রিতে গান প্রকাশনা ও শো এবং অন্যান্য আয়োজন তুলে ধরা হচ্ছে- সেটা আর নতুন করে চলতে দেওয়া যায় না। কারণ অনলাইনে নানা ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকলেও সেখান থেকে শিল্পীরা কিছু পাচ্ছেন না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক শিল্পী গান করেছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। যার সবই ছিল করোনায় অসহায় হয়ে পড়া মানুষকে সহায়তা ও বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় সাহস জোগাতে। কিন্তু অন্যদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে শিল্পীরা নিজেদের জন্য পেশাদারির পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। ফেসবুক, জুম, স্ট্রিমওয়ার্ড বা নানা মাধ্যমে লাইভ টকশো, গানের অনুষ্ঠান বাড়লেও শিল্পীরা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন। সব আয়োজন যদি ফ্রি হয়, তাহলে শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা বাঁচবেন কীভাবে? এই প্রশ্ন থেকেই টাকা ছাড়া গান না গাওয়ার এই দাবি এবং জোটবদ্ধ হওয়া।

শিল্পীদের এই জোট বেঁধে আন্দোলনে নামার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ হওয়ার আগেই গীতিকার, সুরকার ও মিউজিশিয়ানদের পক্ষ থেকে এসেছে আরেকটি দাবি। সম্প্রতি গীতিকার জুলফিকার রাসেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতের নেপথ্যকর্মীদের অধিকার নিয়ে যে দাবি তুলেছেন সেখানেও সমর্থন জুটেছে অগণিত মানুষের। শিল্পীদের কাছে তার দাবি ছিল পাঁচটি। এগুলো হলো- এক. এখন থেকে সম্মানীর বিনিময়ে কণ্ঠশিল্পীরা যেসব গান পারফর্ম করবেন তার একটা ভাগ গীতিকবি, আরেক ভাগ সুরস্রষ্টা এবং আরেকটি ভাগ সহশিল্পীদের জন্যও রাখবেন, দ্বিতীয় দাবি, এখন থেকে যথাযথ সম্মানী গ্রহণ না করে কোনো গান কোম্পানিকে দেবেন না তারা! যথাযথ সম্মানী না দিয়ে কোনো লিরিক বা সুর ব্যবহার করবেন না! অনেক নতুন গীতিকবি বা সুরস্রষ্টা একটি গান প্রকাশের আশায় আপনার কাছে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধ থেকে আপনারা যথাযথ সম্মানী প্রদান করবেন। কেননা, ভবিষ্যতে এই গান আপনি বিভিন্ন শোতে সম্মানীর বিনিময়ে পারফর্ম করবেন। তৃতীয় দাবিতে তিনি বলেছেন, কোনো গান নিজের বলে চালিয়ে না দিতে এবং গাওয়ার আগে গীতিকার ও সুরকারের নাম উল্লেখ করার কথা। চতুর্থ দাবিতে যন্ত্রশিল্পীদের সম্মানীর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন। সবশেষে প্রতিটি বিষয় স্মরণ রাখার কথা বলেছেন এই গীতিকার।

মূলত এর পর থেকেই গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের অধিকার আদায়ের বিষয়টি জোরালো হয়েছে এবং নতুন করে উঠে আসছে গানের রয়্যালিটি ও কপিরাইটের বিষয়টি। অবশ্য তারও আগে শিল্পীদের টাকা ছাড়া গান না গাওয়ার দাবিকে সংগীতাঙ্গনের অনেকে অসম্মানজনক বিষয় বলেছেন। তাদের কথায়, শিল্পী তার সত্তাকে খুশি করতে এবং সম্মানের জন্য গাইবেন, টাকা এখানে মুখ্য নয়। অবশ্যই টাকার প্রয়োজন আছে, তাই বলে টাকা ছাড়া গানই গাওয়া যাবে না- এই কথা বলা উচিত নয়।

বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী বলেছেন, ‘পারিশ্রমিক ছাড়া কণ্ঠশিল্পীদের গান না গাওয়ার বিষয়টি অপরাধ বলা যাবে না। গান যাদের পেশা, তাদের বেঁচে থাকার জন্য, স্টেজ শো, টিভি, রেডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমের নানা আয়োজনে অংশ নিতে হয়। সেটাই তাদের অর্থের উৎস। এখন এই দুঃসময়ে যারা এসবের ওপর নির্ভরশীল, তারা গানের জন্য যথোচিত সম্মানী না পেলে সেটা কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এটাও ঠিক, শিল্পীরা কোথায় বিনা পরিশ্রমিকে গাইবেন, কোথায় গাইবেন না- সেই সিদ্ধান্ত তার নিজের। তাই শিল্পীদের জোটবদ্ধ হয়ে পারিশ্রমিক চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এত কথা ছড়ানোর কোনো মানে হয় না। তাই ছোট-বড় সব শিল্পীকে অনুরোধ, এই বিষয় নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি এখনই বন্ধ হোক।’ এই দুঃসময়ে শিল্পীদের সম্মানী চাওয়ার বিষয়টিকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন না কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। করোনার লকডাউনের শুরু থেকে তিনি অসহায় শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের নিয়ে ভাবার বিষয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ রেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যতটা না নিজের জন্য, তার চেয়ে বেশি খারাপ লাগে মিউজিশিয়ানদের জন্য। রিকশাওয়ালা, দিনমজুর থেকে শুরু করে শিক্ষক, খেলোয়াড়সহ অনেকের কথাই ভাবা হচ্ছে। সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু কেউ শিল্পী বা মিউজিশিয়ানদের নিয়ে কিছু বলছে না। এই দুঃসময়ে মিউজিশিয়ানদের কথাও ভাবতে হবে। অডিও রেকর্ডিং, স্টেজ শো, টিভি লাইভ হলো তাদের আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু এখন এর কোনোটাই হচ্ছে না; তারা কীভাবে দিন পার করছে, এটাও সবার জানা দরকার। যদিও এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, তারপরও পেশাদারি কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়নি।’

গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের কথা থেকে এখন একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ঠিক কী কারণে এবং কোন পরিস্থিতিতে আবার গানের কপিরাইট ও রয়্যালিটির কথা উঠে আসছে। কিন্তু দেখার বিষয় হলো, আসলেই কি গানের রয়্যালিটি পাওয়ার বিষয়টির সুরাহা হবে? এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেওয়ার কারণ একাধিক বৈঠক এবং আন্দোলনের পরও রয়্যালিটির বিষয়টি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই থেকে গেছে। বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আজীবন সৃষ্টি নিয়ে মানুষের মনকে আন্দোলিত করেছি। অথচ আমরা নিজেরাই এখন হতাশায় নিমজ্জিত। যারা আমাদের সংগীত নিয়ে টাকার পাহাড় গড়েছে, তারাই আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যেজন্য অধিকার আদায়ে মাঠেও নামতে হয়েছে। বাংলাদেশ লিরিসিস্ট, কম্পোজার্স অ্যান্ড পারফরমার্স সোসাইটির পক্ষ হয়ে সংগীত স্রষ্টাদের অর্থনৈতিক ও নৈতিক কপিরাইট অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিস্যাক [ঈওঝঅঈ] ও ওয়াইপোর [ডওচঙ] দ্বারস্থ হয়েছি। কারণ অনেকদিন ধরেই আমরা রেকর্ড কোম্পানি, টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রচারিত আমাদের গান বা সংগীত থেকে কোনো রয়্যালটি পাচ্ছি না। যেজন্য সংগীতাঙ্গনের সবাইকে এক ছাতার নিচে আসার আহ্বান করছি একাধিকবার।

যদিও কণ্ঠশিল্পী জেমস অনেকদিন এ বিষয়টি নিয়ে নীরব, তারপরও একটি সত্যি স্বীকার করেছেন যে, এদেশে অনেকে এখনও ঠিকভাবে জানে না, রয়্যালিটি কীভাবে দেওয়া হয় বা আগামীতে দেওয়া হবে। তার কথায়, ‘বিষয়টা অনেকের কাছেই স্বচ্ছ নয়। আমি কেবল এটুকুই বুঝি, সরকার চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই সব বেআইনি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে পারে। কপিরাইট আইনও সরকারের পক্ষে সংশোধন করা সম্ভব। সবার মঙ্গল হবে- আইনি প্রক্রিয়ায় সেই কাজটিই করা উচিত।’ জেমসের এই কথা থেকে অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে কপিরাইট আইন আসলে কী বলে। এই আইনে যা উল্লেখ আছে তা হলো : যিনি কোনো কর্মের স্রষ্টা তিনিই মালিক বা স্বত্বাধিকারী।

বাংলাদেশে কপিরাইট আইন [২০০০ ও সংশোধিত ২০০৫] অনুযায়ী ‘এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো কর্মের প্রণেতা ওই কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন।’ [অধ্যায়-৪, ধারা ১৭]। আবার প্রণেতা বলতে বোঝানো হয়েছে [খ] সংগীতবিষয়ক কর্মের ক্ষেত্রে, উহার সুরকার বা রচয়িতা, [ধারা ২, দফা ২৪]। গানের ক্ষেত্রে গায়ক যে কণ্ঠদান করেন, এটি মেকানিক্যাল সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের আওতাধীন। গায়কের সঙ্গে গানটির [গীতিকার ও সুরকার] যদি এমন চুক্তি হয়ে থাকে যে, তিনি ছাড়া আর কেউ এ গান গাইতে পারবেন না, তবে ওই সময়ের জন্য ওই গানটির তিনিও একজন মালিক বা সুবিধাভোগী। তবে বাংলাদেশে এ রকম চুক্তি কখনও হতে দেখা যায় না। চুক্তি না হলে গায়ক কখনও গানটির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না তথা ওই গান থেকে প্রাপ্ত সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন না। অন্যদিকে চলচ্চিত্রের গানের বিষয়ে কপিরাইট আইন বলে, সিনেমার গানের স্বত্ব প্রযোজকের। তিনি গান বিক্রির সমস্ত অর্থ পাবেন, সেখানে আর কোনো দাবিদার থাকবে না। অবশ্য এই বিষয়ে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ [এমআইবি] সদস্যরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের কথায় ‘কপিরাইট আইন ২০০০-এর ধারা ২ [২৪] থেকে এটি স্পষ্ট যে, শব্দ রেকর্ডিং বা ফোনোগ্রাম অথবা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এর প্রযোজক প্রণেতা এবং ওই আইনের ধারা অনুযায়ী কোনো কর্মের প্রণেতা ওই কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী। এমন আইনি প্রক্রিয়া এবং বছরের পর বছর রয়্যালিটি থেকে বঞ্চিত প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘শিল্পীরা কি বাঁচবে? বাঁচবে না। কারণ তারা প্রাপ্য সম্মানী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অহরহ। তাই একটা সময় কারও কারও ভালো কাটলেও পরে তাদের সময়টা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।’ আইয়ুব বাচ্চুর এই কথা অনেকের মনকে নাড়া দিয়েছিল। কেউ কেউ তাই জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর রয়্যালিটি আদায়ের বিষয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করে গেছেন। এখন আবার নতুন করে অধিকার আদায়ের ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, ‘অবিলম্বে গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের সমন্বয়ে কপিরাইট সোসাইটি গঠন করতে হবে। সোসাইটি হতে হবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিমুক্ত। প্রত্যেকটি পেশাদার শো থেকে কপিরাইট সোসাইটির জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পার্সেন্টেজ কাটতে হবে। যেন গীতিকার-সুরকাররা সেখান থেকে তাদের সৃষ্টির ন্যায্য পাওনা পায়।’ আসিফের মতো করে এখন অনেকেই কপিরাইট নিয়ে নতুন করে আওয়াজ তুলেছেন। এখন দেখার বিষয়- তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা আর একত্র হয়ে আন্দোলন শেষে ফলাফল কী দাঁড়ায়।

কুমার বিশ্বজিৎ : শিল্পীর জন্য শিল্পচর্চা প্রধান বিষয়। তারা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে শৈল্পিক গুণাবলি তুলে ধরবেন- এরপর আসবে অন্য ভাবনা। অর্থ কখনও শিল্পী বা শিল্পের মাপকাঠি হতে পারে না। তাই যখন দেখলাম অনেকে একজোট হয়ে বলছেন, ‘টাকা না দিলে গান গাইব না’- তখন হতবাক হয়ে গেছি। এটার জন্য আসলে একত্রিত হওয়ার কিছু নেই। গান কে কোথায় গাইবে, সেটা ফ্রি নাকি অর্থের বিনিময়ে গাইবে- এটা যার যার নিজস্ব বিষয়। আমি মনে করি, ছোট বা বড়- যে যেমন শিল্পীই হোক না কেন, তার উচিত হবে না সম্মান বা ব্যক্তিত্ব অর্থ দিয়ে বিবেচনা করা।

মারজুক রাসেল : রয়্যালিটির বিষয়টি আইনে যেভাবে আছে, তেমনটাই হওয়া দরকার। তবে কপিরাইট আইন নিয়ে একধরনের ধোঁয়াশা ও ভুল প্রচারণা আছে। আমার মতে এই ভুলগুলোর আগে সংশোধন করা প্রয়োজন। গানের দাবিদার কে কত শতাংশ পাবে, তা আজও অমীমাংসিত। সে কারণে আইন নিয়ে সবাই কিছুটা গোলকধাঁধার মধ্যে আছে। এই সমস্যা থেকে বের হওয়া জরুরি। আইনে বেশ কিছু মারপ্যাঁচ আছে। এগুলো সবার পরামর্শ অনুযায়ী মীমাংসা করা প্রয়োজন। আমি আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার কথা বলি না। বরং সবাই আইন অনুযায়ী বিষয়টির একটি সুন্দর সুরাহা পাবে- এটিই আশা করছি।

Share