আনোয়ারা পারভীন : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে ব্যাংকগুলো অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ১২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা আদায় করেছে। ফলে বর্তমানে অবলোপনকৃত ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১০২ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অবলোপনকৃত ঋণের পরিমান ছিলো ৫২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অবলোপনকৃত ঋণের তথ্য উপাত্ত চুড়ান্ত করেছে। আগামি সপ্তাহে এই তথ্য প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প থেকে ব্যাংকগুলোকে সব সময় নানা রকম তাগিদ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবিড় তত্বাবধানে গত ৩ মাসে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ১২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। তিনি জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৯শ ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই সময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, আদায় করতে না পারার একটি নিদিষ্ট সময় পর ব্যাংকগুলো আদায় অযোগ্য খেলাপি ঋণ ব্যালেন্সশিট থেকে আলাদা করে রাখে। এই আলাদা করে রাখা ঋণকে অবলোপন বলা হয়। গত অর্থবছরের জুন শেষে অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ৪৯ হাজার ৪৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে অবলোপনকৃত ঋণের পরিমান দাঁড়ায় ৫২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকগুলো মোট ৬শ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণ অবলোপন করে। যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। মার্চ পর্যন্ত অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ৪৮ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।
২০০৩ সাল থেকে গত ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৮৯০ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর শেষে মোট অবলোপনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৪৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ ঋণ মামলা নিষ্পত্তি করে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।