নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ১৮৯৪ সালের প্রিজনস অ্যাক্ট ও জেল কোডের সংশ্লিষ্ট বিধি ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ব্যবহার করে সাধারণ বন্দীদের ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই বিধিবিধান প্রয়োগ করে ‘স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকভাবে’ ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোর বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন।
‘গায়েবি মামলার আসামি বিএনপি নেতা হাতকড়া পরে জানাজায়’ শিরোনামে গত ২১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ‘ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে ১৭ জানুয়ারি অপর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই দুই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল গত সপ্তাহে রিটটি করেন। কায়সার কামাল বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদকও।
মায়ের জানাজায় উপস্থিত গাজীপুরের আলী আজম খান ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজা নামে বিচারাধীন ওই দুই বন্দীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে অমানবিকভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোয় কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন।
আদেশের পর আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ওই দুটি ঘটনা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ১৮৯৪ সালের প্রিজন অ্যাক্টও পরিবর্তন দরকার। যে কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল দেন।