আবারও পানি বিশুদ্ধের দাবি, শরবত খাননি ওয়াসার এমডি

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ওয়াসার পানি শতভাগ বিশুদ্ধ বলে আবারও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বলছে এই পানি খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দায়ভার নেবে ওয়াসা। মঙ্গলবার বেলা একটায় রাজধানীর কাওরান বাজারে এ কথা বলেন ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন।

ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে রাজধানীবাসীর অভিযোগের শেষ নেই। পুরনো লাইন দিয়ে যে পানি আসে তাতে ময়লা আর দুর্গন্ধের অস্তিত্ব প্রায়ই মেলে। পরে সেই পানির কারণে অসুস্থতার খবর সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রতিনিয়ত আসে। তারপরও ওয়াসার এমডি দাবি করেন ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। তার এই দাবির প্রেক্ষিতে অভিনব এক প্রতিবাদের আয়োজন করেন জুরাইন এলাকার বাসিন্দারা।

সে জন্য ওয়াসার পানির নমুনা ও সেই পানির শরবত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডি তাসকিম এ খানকে পান করাতে কাওরান বাজার ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে যান তারা। এসময় জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান কাচের জগে করে ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি এমডির দেখা পাননি। ওয়াসার এমডির প্রতিনিধি হয়ে আসেন এ কে এম সহিদ উদ্দিন। এসময় তাকে শরবত খেতে অনুরোধ করা হলে তিনি জানান, পানির লাইন ঠিক করে তিনি শরবত খাবেন।

আরও পড়ুন: সৌম্যের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরি

সহিদ উদ্দিন বলেন, ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ। পানিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোথাও যদি ময়লা পানি আসে, সেটা পাইপলাইনের জন্য। কারণ আমরা যে গভীর নলকূপ থেকে পানি নেই সেই পানি শতভাগ নিরাপদ।

ওয়াসার এমডির বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে কেউ যদি ওয়াসার পানি পান করে অসুস্থ হন তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? মিজানুর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে সহিদ উদ্দিন বলেন, আমি নেবো। ওয়াসা নেবে।

এসময় সাংবাদিকেরা ওয়াসার পরিচালকের কাছে জানতে চান, পাইপলাইন পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার? তখন ওয়াসার এই প্রতিনিধি বলেন, সে দায় ওয়াসার। তারা সব সময় জানতে পারেন না কোথায় কী সমস্যা আছে।

গত ১৭ এপ্রিল ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহক পানি ফুটিয়ে পান করেন। আর বাসাবাড়িতে এই পানি ফোটাতে বছরে পোড়াতে হয় ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার গ্যাস। যার আর্থিক মূল্য ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এরপর গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন ওয়াসার এমডি তাকসিম। তিনি বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি শতভাগ বিশুদ্ধ।

Share

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋণ স্বীকার বাঞ্ছনীয় ।