আমদানি-রপ্তানির হিসাবে গড়মিল, সংশোধনের নির্দেশ

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : আমদানি-রপ্তানির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার গড়মিল ধরা পড়ার পর এবার অনুমোদিত ডিলার তথা তফসিলি ব্যাংকগুলোর তথ্য সুদ্ধিকরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নির্দিষ্ট সার্কুলারে নির্দেশনার আলোকে এসব ব্যাংক কর্তৃক ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে নিয়মিত ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন রিপোর্ট করার নির্দেশনা থাকার পরও তারা ভুল ও বিলম্বে রিপোর্টিং করেছে।

এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট হিসাবায়ন এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার তথা তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়—

  • আমদানির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট বা এলসি স্থাপন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট বা এলসি প্রাপ্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় যে কোন মূল্য পরিশোধ ও প্রাপ্তির ৮ (আট) কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন মডিউলের নির্ধারিত টেমপ্লেটে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • আমদানি সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যাদি ড্যাশবোর্ডের নির্ধারিত টেমপ্লেটে প্রদান করতে হবে।
  • ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং বিষয়ে ইতোপূর্বে জারিকৃত সকল সার্কুলার, সার্কুলার লেটার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথারীতি বলবৎ থাকবে এবং পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

Share