নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : বাংলাদেশি ইলিশ আমদানি ও বিক্রির দায়ে নিউজিল্যান্ডের একটি আমদানিকার ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পরেও এই কাজ করায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম খান ব্রাদার্স ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমান খান ওরফে জন খানকে ৬ মাসের কমিউনিটি ডিটেনশন (চলাচলে বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে ১২ মাস পর্যবেক্ষণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২৯ জুলাই, বুধবার অকল্যান্ডের একটি আদালত এই আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের জুলাইয়ে মাছ বিক্রির দুটি ঘটনায় মুস্তাফিজুর এবং তার প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হয়। তারা নিউজিল্যান্ডের ‘বায়োসিকিউরিটি অ্যাক্ট-১৯৯৩’ উপেক্ষা করে ইলিশ আমদানি করেছিল।
দেশটির গণমাধ্যমে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড মিনিস্ট্রি ফর প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ’র ডিরেক্টর অব কম্প্লায়েন্স গ্যারি অর বলেন, বায়োসিকিউরিটি অ্যাক্টের লঙ্ঘন খুব কঠোরভাবে নেয় সরকার। বিশেষ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই মাছগুলো আনা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বায়োসিকিউরিটি অ্যাক্ট অযথা প্রণয়ন করা হয়নি। নিউজিল্যান্ডে কেউ কোনো পণ্য আনলে অবশ্যই তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সেটি ক্ষতিকর কিছু নয়। একজন বায়োসিকিউরিটি অফিসার ওই মাছগুলোকে ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করতে দেখেছেন।’
প্রসঙ্গত, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এমন কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বায়োসিকিউরিটি আইনটি বানায় নিউজিল্যান্ড সরকার। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকে যাতে কোনো নিষিদ্ধ প্রাণী আসতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করে। এই আইনের আওতায় নিউজিল্যান্ডে ইলিশ মাছ নিষিদ্ধ।
এই আইন হলো বিশ্বের প্রথম জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক আইন। এর মাধ্যমে কিছু কীটপতঙ্গ শিকার, হত্যা ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু মুস্তাফিজুর ৩ হাজার ৫০০ কেজি ইলিশ আমদানি করে তা ইন্ডিয়ান সার্ডিন নামে চালিয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেতে চেয়েছিলেন।