ঈদের জামাতে করোনা থেকে মুক্তির মোনাজাত

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা মহামারির মধ্যে এসেছে আরেকটি ঈদ।ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিনটি।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এরপর সকাল ৮টায় আরও একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মসজিদে মোট ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারির কারণে এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হয়নি।

করোনা মহামারির মধ্যে এবারের ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নেন। বিশ্বের ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনার পাশাপাশি এবার মোনাজাতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সকাল থেকে সারা দেশের মসজিদে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর শুরু হয়েছে পশু কোরবানি। দেশের সড়ক, বাসায় ও অলিগলিতে আল্লাহকে খুশি করতে পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়া ও উদ্‌যাপনের জন্য বলা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে দূরত্ব মেনেই নামাজে অংশ নিয়েছেন মানুষ। অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল। আবার মাস্ক পরেননি—এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে নামাজের পর কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি। কেউ কেউ হাত মিলিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

ঢাকায় ঈদের চিরচেনা রূপ সকালে দেখা যায়নি। পশু কোরবানি হচ্ছে। তবে ঈদে নতুন জামাকাপড় পরে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বের হতে তেমন দেখা যায়নি। হাতিরঝিল ও ধানমন্ডির মতো অল্প কিছু এলাকায় কিছু শিশুকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা গেছে।

এ ছাড়া সড়কে যান চলাচল খুবই কম। রাজধানীর বিজয় সরণিতে নাজিব নামের একজন পুলিশ সদস্য বলছিলেন, দুপুরের পর হয়তো মানুষ বের হওয়া শুরু করতে পারে। বিনোদন স্পটগুলোয়, বিশেষ করে লেক ও পার্কে মানুষের ঘোরাঘুরি বাড়তে পারে। তিনি বলেন, তাঁরা চেষ্টা করবেন মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন, অন্তত মাস্ক যেন পরেন।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ঈদের দিন ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দেশের ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে মাঝারি বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য এলাকাগুলোয় বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Share