নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৪ হাজার ৯৬৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু আগের দিনের সমান হলেও নতুন রোগী ও শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ১১৪ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিন রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩০। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৬২৭ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭১ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৬২ জন ও নারী ৫২ জন। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন মারা গেছেন। খুলনা বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
এর মধ্যে গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয় ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে দেশে এত মৃত্যু হয়নি। তার আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে, ২ হাজার ৪০৪ জনের।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনার ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতিসংক্রামক এ ধরন ছড়িয়ে পড়েছে।
ফলে বিশ্বজুড়েই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে।