নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর কলাবাগান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আজ সোমবার (৩১ মে) বিকালে ওই চিকিৎসকের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ অভিযোগ করেন তার মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সকালে ফোনে জানতে পারি আমার ভাগনি কাজী সাবিরা রহমান লিপি মারা গেছে। এরপর এই বাসায় এসে দেখি লিপির রুমে ছাই পড়ে আছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা। এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ। এটি পরিকল্পিত হত্যা।
তিনি আরও জানান, আমার ভাগনি নিহত কাজী সাবিরা রহমান লিপিরা তিন ভাই-বোন। দুই ভাই আছে অস্ট্রেলিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছে। এখন গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিল লিপি।
পুলিশের ধারণা, এই চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। আলামত সংগ্রহের জন্য ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, কলাবাগানের ওই বাসার তিনটি কক্ষের মধ্যে একটিতে থাকতেন লিপি। বাকি দুটি কক্ষ সাবলেটে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে। তবে সাবলেটে দুই রুম ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক মাহবুব ইসলাম।
এদিকে এ বিষয়ে তার মামা বলেন, লিপির সঙ্গে একটি মেয়ে সাবলেট থাকত বলে জানি। মেয়েটি লেখাপড়া করে। লিপির মায়ের বাসা পাশেই। ছেলে-মেয়ে দুটি ওই বাসাতেই থাকতো। ছেলের বয়স ২১। ছেলেটি কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।
সোমবার দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেন ভবনের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ধানমন্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। উদ্ধারের পর নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
