নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান বিধিনিষেধ ১০ দিন বাড়িয়ে আগামী ১৬ জুনের মধ্যরাত পর্যন্ত করেছে সরকার। আজ রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারের বিধিনিষেধে নতুন কিছু শর্তের কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক {বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান,(ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি}, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীকে সেবা দিতে পারবে। অর্থাৎ হোটেলে বসে খাওয়া যাবে। এর আগে সময় বেধে দেওয়া ছিল না।
এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকেরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ বিষয়ে এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন প্রয়োজন মনে করলে সিভিল সার্জন ও জন প্রধিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় প্রশাসন পুরো জেলা বা আংশিক এলাকায় লকডাউন দিতে পারবেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় লকডাউন দিয়েছে।
আগের মতো এবারও বলা হয়েছে, আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও ছয় দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। এবার এই বিধিনিষেধ আরেক দফায় ১০ দিন বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা হলো।