নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের শিকজান গ্রাম থেকে গত ২০ জুন তারিখে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে অপহরণ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অপহরণ হওয়া ঐ ছেলে উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের শিকজান গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে পল্লব মন্ডল ও একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে রাফিয়া আক্তার জীম। তবে ওই সময় প্রবল গুনজন ছিল প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে ওই ছেলে আর মেয়ে। কিন্তু মেয়ের পিতার দাবী তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। আর অপহরণকারী হলেন কৃষকলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী হক। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে গত ২৮ জুন তারিখে কালুখালী থানায় নূরে আলম সিদ্দিকী হককে মামলার ২নং আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন । এছাড়াও একই দাবীতে গত ১ জুলাই বুধবার কালুখালী উপজেলা প্রেসক্লাবে নূরে আলম সিদ্দিকী হকের বিচার দাবী করে ওই স্কুল ছাত্রীকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পিতা।
অপর দিকে বিষয়টি ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করতে নূরে আলম সিদ্দিকী হক অপহরণ হওয়া রাফিয়া ও পল্লবকে দিয়ে জোর করে একটি লিখিত বক্তব্য ভিডিও করেন যে খানে রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি ও তার ছেলেকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলা হয়, এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন। যা সাজানো ও জোরপূর্বক করা হয়েছে বলে শনিবার দুপুর ১ টায় কালুখালী উপজেলা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান অপহরণ হওয়া সেই ছেলে -মেয়ে ও তাদের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে রাফিয়া ও পল্লব জানান, আমরা দুজন-দুজনকে ভালবাসি। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নূরে আলম সিদ্দিকী হক একটি সাদা মাইক্রোযোগে আমাদেরকে চোখ বেধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অহপরণ করে আমাদের দুজনকে নারায়নগঞ্জে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখে এবং আমাদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দেয়।
রাফিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন কোর্টে হাজিরার দিন হক আমাকে কোর্ট চত্ত্বরে নামিয়ে দেয় এবং আমাকে দিয়ে তার সাজানো মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য করেন। আমি যদি তার সাজানো কথা না বলি তাহলে সে আমার স্বামী পল্লবকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করেন। তাই আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে এসব কথা বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে রাফিয়া আরো বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি ও তার পুত্রকে নিয়ে আমাকে দিয়ে বলানো যে ভিডিও নূরে আলম সিদ্দিকী হক প্রকাশ করেন তা আমি নিজ ইচ্ছায় বলি নাই। আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় সম্পূর্ণ তার কথামত আমি করেছি।
এ সময় রাফিয়ার পিতা হুমায়ন করিব ও পল্লবের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, হক আমাদের ছেলে-মেয়েকে অপহরণ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্ঠা করেছিল, আমরা তার বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বদর উদ্দিন সরদার,মেয়ের পিতা,হুমায়ুন করিব,ছেলের পিতা আলাউদ্দিন,ছেলে পল্লব মন্ডল,মেয়ে রাফিয়া আক্তার জীম ও রাজবাড়ী জেলার ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।