নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। এটা যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের হাসপাতাল ও অন্য ব্যবস্থাপনাকে মজবুত করছি। কোনো দেশ লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা হাসপাতালে দিতে পারে না।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে ‘করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত’ অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের কভিড-১৯ মোকাবিলার মূল অস্ত্র ঘরে থাকা এবং ঘরে থাকা এবং পরীক্ষা করা। যার মাধ্যমে যারা সংক্রমিত হয়েছে, চিহ্নিত হবে এবং তাদের আইসোলেশনে রাখা যাবে। তারা যেন অন্য কাউকে সংক্রমিত না করতে পারে। এটি সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, সবচেয়ে বড় অস্ত্র। নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, বাসাবোসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় বেশি সংক্রমিত হয়েছে। এইসব এলাকা থেকে যারা বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে সেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। লকডাউন পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। বাজারে অনেক লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। বাইরে অনেক মানুষ অযথা ঘোরাঘুরি করছে। এই জিনিসটি পরিহার করতে হবে।
‘১৭টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন আরও চার-পাঁচশ ভেন্টিলেটর ও চার-পাঁচশ অক্সিজেনারেটর আনার ব্যবস্থা করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন তিনটি আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি পুরাতন মার্কেট ও দিয়াবাড়িতে। এছাড়া বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করার জন্য নিয়েছি। এর মধ্যে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালের পুরাতন ভবন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের ৩০০ শয্যা রয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করতে বলেছি। সেগুলোতে কাজ শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে কাজ শুরু হয়েছে।
‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেগুলোও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা শহরে ভেতরে আমরা নেবো ৫০০ শয্যার শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ, ৭০০ শয্যার আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ। এগুলো ভালো হাসপাতাল। আইসিইউ রয়েছে। প্রতিটি জেলায় যেসব বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, তারা এগিয়ে এসেছে। তাদের হাসপাতালগুলো আমরা আমাদের তালিকায় তালিকাভুক্ত করে নিচ্ছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৮২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৩ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে তিন জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৭০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৬২৩টি।