নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড করোনা ভ্যাকসিনে মুনাফা করেছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত তিন মাসে তারা এ মুনাফা অর্জন করে। রোববার (২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিটি জানুয়ারি-মার্চ মাসে সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে। এখান থেকে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে বেক্সিমকো। সব খরচ বাদেই কোম্পানিটির এ মুনাফা। এতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।
কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ বলেন, “তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। যা মুনাফা হিসাবে আয়ে যুক্ত হয়েছে। ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে যা প্রান্তিক আয় হিসাবে যুক্ত হয়নি।”
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফা হয়েছে ১৪৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৫ টাকা। যা আগের বছরের প্রায় দেড়গুণ বেশি। টিকার আয়ের পাশাপাশি বেক্সিমকোর চলমান ওষুধের ব্যবসার আয়ও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ওষুধ রপ্তানি করে প্রাপ্ত নগদ সহায়তার পরিমাণও। ফলে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে তিন টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই টাকা দুই পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে এক টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা। বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ও বেক্সিমকোর মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে।