নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : রোববার দেশে করোনাভাইরাসে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিগত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা) মৃত্যুর এই সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় তিনজন বেশি।
দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১১২ জনের। গত পয়লা মে ৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঈদের ছুটির মধ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩৬৩ জনের। শনিবার ছিল ২৬১। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৪৩০।
তবে নমুনা পরীক্ষা অন্যান্য সময়ে তুলনায় অনেক কম। গত বুধবার ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে ঈদের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র তিন হাজার ৭৫৮ জনের। পরীক্ষা কমেছিল তার আগের দিন বৃহস্পতিবারও, সেদিন ৭ হাজার ৮৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়।
শুক্রবার শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ আর শনিবারের তা কমে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে। আর আজ শনাক্তের হার আরও কমে ৬ দশমিক ৬৮।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বুধবার ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
গত এক দিনে নতুন শনাক্ত ৩৬৩ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ জন।আর নতুন করে ২৫ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৪৯।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
এ বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের উপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও।
করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধি-নিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে ঈদ সামনে রেখে শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং ঘরমুখো মানুষের ঢল নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।