নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন।যা নতুন রেকর্ড। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ছয়শ ৬৬০ জনে।
আজ মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। গতকাল সোমবার ১০৩৪ জন নতুন শনাক্তের এবং ১১ জনের মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৪৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন, নারী ৫ জন। ৫ জন ঢাকার বাসিন্দা।
নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২৪৫ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থ হলো ৩ হাজার ১৪৭ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫২ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৩৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ১ হাজার ৬৬৬ জন। অদ্যাবধি আইসোলেশনে এসেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৯ জন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুতি। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।
তিনি বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ৮ হাজার ৬৩৪টি। ঢাকার ভেতরে আছে ২ হাজার ৯০০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ৫ হাজার ৭৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩২৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৪২ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মারা গেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ৮১ হাজার ৭৯৫ জন।
