নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় কম নমুনা পরীক্ষা করে দেশে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তার মধ্যেও জটিলতা তৈরি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা শনাক্তের ফলাফল নিয়ে। পিসিআর ল্যাবে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলেও অন্য ল্যাবে তার ফল আসছে নেগেটিভ। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৬৭ জনের করোনা পজিটিভ হলেও ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) ৬৫ জনের নেগেটিভ এসেছে। মাত্র দুইজনের করোনা পজিটিভ বলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত ল্যাবে সোমবার চার জেলার ১৭৩ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়াসহ আরও তিন জেলার ৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আগের তুলনায় পজিটিভ রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে কর্তৃপক্ষ।
দুদিন পর কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ৬৭ জনের পজিটিভ শনাক্তের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। নতুন করে নমুনা আইপিএইচে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পুণরায় পরীক্ষা করে চূড়ান্ত ফলাফল দেয়া হবে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে ৬৭ জনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়।
এর মধ্যে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দুইজনের করোনা পজিটিভ এবং বাকি ৬৫ জনের নেগেটিভ এসেছে। ওই ফলাফলে কুষ্টিয়ার কারো শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সমকালকে জানান, সোমবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেুরপুর জেলার ১৭৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৭ জনের পজিটিভ আসে। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য আইপিএইচে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুনরায় পরীক্ষার ফল এসেছে। তাতে ৬৫ জনের নেগেটিভ এসেছে।
কুষ্টিয়া ল্যাবের প্রধান নাজমীন রহমান এ ব্যাপারে বলেন, ‘৬৭ টির মধ্যে একটির ব্যাপারে আমরা ক্লিয়ার (স্পষ্ট) ছিলাম। ৬৬ টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল।’