নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা না নিয়ে আত্মগোপনে থাকা যুবককে অবশেষে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার। পরে ওই যুবকের গ্রামটির ১২০টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। ততক্ষণে কতোটা অনর্থ ঘটে গেছে তা নিয়ে শঙ্কিত অনেকেই।
আক্রান্ত রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ওই যুবক কিডনীর রোগেও ভুগছিলেন। তার দুইটি কিডনীই প্রায় বিকল। গত ৪ এপ্রিল তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেরেবাংলা নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তুশরীরে করোনার উপসর্গ বুঝতে পেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করেন। শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু তিনি সেখানে ভর্তি না হয়ে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন এবং মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়।
গতকাল শুক্রবার (১০ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইইডিসিআর থেকে এ ধরণের একটি বার্তা দিলে পুলিশের সহায়তায় রাত ১১ টার দিকে তাকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে তার চিকিৎসার জন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ওই যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর গোপন করে বিভিন্ন স্থান ও মানুষের সঙ্গে অবাধে চলাফেরা করায় ওই এলাকার ১২০টি পরিবার লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। রাতেই তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।