নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : বাড়ি-জমি তো রয়েছেই, বাড়তি লাভ, কাশ্মীরের ‘ফর্সা মেয়ে’; সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরই একাধিক গেরুয়া নেতার মুখে শোনা গেছে এমন কথা। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ‘সুফল’ বোঝাতে গিয়ে বিভিন্ন জনসভায় এভাবেই বিয়ের টোপও দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। সেই তালিকায় রয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কও।
৩৭০ ধারা বাতিল পর্ব শুরু হওয়ার পরই কাশ্মীর নিয়ে ধারণা বদলাচ্ছে দেশজুড়ে। বদল গুগল সার্চের ধারাতেও। কাশ্মীরের ডাল লেকের ছবি দেখার পরিবর্তে ক্রমশই বাড়ছে ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ সার্চ। আর সার্চের গণজোয়ারেই এতদিন শীর্ষে ছিল দিল্লি। তবে রাজধানীকে টপকে সবচেয়ে বেশি ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ সার্চ করছে পশ্চিমবঙ্গ। ভারতীয় প্রদেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানা। চতুর্থ স্থানে কর্নাটক এবং পঞ্চমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এমনই রিপোর্ট এক ইংরেজি দৈনিকের।
এছাড়াও ‘কাশ্মীরি গার্লস’ কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছে কেরালা। দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড এবং তৃতীয় স্থানে পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। অগস্টের ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ সার্চে একে অপরকে রীতিমতো টক্কর দিয়েছে দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গ।
৩৭০ ধারা বাতিল পদ্ধতি ঘোষণার পর পরই গুগলে ছড়িয়ে গিয়েছিল ‘কাশ্মীরি গার্ল পিক’ সার্চ। এই কিওয়ার্ডেও বাংলা থেকে বহু সার্চ হয়েছে। পিছনেই রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। ‘ম্যারি কাশ্মীরি’ কিওয়ার্ডেও এই রাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সার্চ হয়েছে গুগলে। এই কিওয়ার্ডেও দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে কর্নাটক। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে তেলেঙ্গানা ও কেরালা।