নয়াবার্তা জেলা প্রতিবেদক : দুর্ঘটনা কবলিত এমভি অভিযান-১০ এর ইঞ্জিনরুমের পাশে ক্যান্টিনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে লঞ্চে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেবিন বয় ইয়াসিন (১৯)।
ইয়াসিন বলেন, ‘লঞ্চের নিচতলার পেছনে ইঞ্জিনরুমের পাশেই ক্যান্টিন। সেখানে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এরপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইঞ্জিনরুমে। সেখানে ১৩ ব্যারেল ডিজেল রাখা ছিল। সেই ডিজেল আগুন আরও বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনরুমের পর আগুন চলে যায় ডেকের দিকে। ডেকের জানালার পর্দা থেকে দোতলায়। সেখানে প্রথমে পারটেক্স বোর্ডের সিলিংয়ে আগুন লাগে। দোতলায় একটা চায়ের দোকান ছিল। ওই চায়ের দোকানের সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়। এতে আগুন আরও বড় হয়ে যায়। এরপর আগুন যায় তিনতলায়।’
আগুন লাগার পর ডেকের যাত্রীরা নেভানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাদে চলে যান। কেউ কেউ নদীতে লাফ দেন।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।