নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়ার পর প্রশ্নের মুখে পড়া ওই ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাশেদ খান মেনন একথা জানান।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছেন ক্যাসিনোর ‘ক’ অক্ষরও জানতেন না। তাহলে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি (মেনন) কীভাবে জানবেন?
ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেই রাশেদ খান মেননের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল– ক্যাসিনো চালানো একটি ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ আছে কি-না। জবাবে ঢাকা-৮ তথা মতিঝিল-ফকিরাপুল এলাকার সংসদ সদস্য মেনন বলেন, এটা দায়িত্বে থাকার পদ নয়। তার আগে মায়াও (আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম) একই পদে ছিলেন। এটা আলঙ্কারিক পদ, কোনো দায়িত্বের পদ নয়।
তিনি বলেন, ‘ওখানে দেখবেন একজন সভাপতি আছেন, একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন। এটা (চেয়ারম্যান) আলঙ্কারিক পদ। আর আমি তো বলেছি, আমি ২০১৬ সালে একদিনই ওই ক্লাবে গেছি, ফিতা কেটেছি, ওই দিনই শেষ। আর ক্যাসিনো শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। একদিন যাওয়াতেই যদি আমার গায়ে কালিমা লাগে, লাগবে।’
সংসদীয় এলাকার মধ্যে এ ধরনের কাজ হচ্ছে, সেটা সংসদ সদস্য হিসাবে জানা উচিত ছিল কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘আপনাদের কী ধারণা– প্রশাসনের কেউ জানল না, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে জেনে ফেলে দিলাম! ব্যাপারটা কি এতই সহজ বিষয়?’
আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় যুবলীগ নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দিনই ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে ক্যাসিনো চালানোর প্রমাণ পাওয়ার পর ক্লাবের সভাপতি ও যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন, ক্লাবে তার ছবিও দেখা যায়। এরপর বিষয়টি সংবাদ শিরোনাম হওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়। ওই পদে থাকার কারণে মেননের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না– তার ব্যাখ্যা চেয়ে বুধবার এই সাংসদ এবং আইন সচিবসহ সংশ্লিদের উকিল নোটিশও পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী।