নয়াবার্তা প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ, বিশেষত অমিক্রন ছড়ানোর ভীতির মধ্যে এসেছে উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণ। পুরোনো বছরের বিদায়ের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যে বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে বরণ করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের বাসিন্দারা। নতুন বছরের প্রথম প্রহরকে বরণে সিডনি হারবারের আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল নানা রঙের আলোয়। বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সিডনি।
তবে করোনার অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার ভীতির পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিউজিল্যান্ডের রাজধানী অকল্যান্ডে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কোনো আয়োজন ছিল না। প্রতিবারের মতো এবার অকল্যান্ডের আকাশে আতশবাজির আলোকচ্ছটা দেখা যায়নি।
প্রতিবছর আতশবাজির পাশাপাশি সিডনির অপেরা হাউস বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে। এবারও নানান রঙে রেঙেছিল এই স্থাপনা। নতুন বছর শুরুর মুহূর্তে সিডনি বন্দরের ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি সবার নজর কেড়েছে। নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তে মেলবোর্নের আকাশও বর্ণিল আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল।
তবে অমিক্রন সংক্রমণের ভয় থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিগ বেন, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের আইকনিক স্থাপনাগুলোয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন সীমিত কিংবা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে প্রতিবারের মতো এবারও বসছে নতুন বছরের ক্ষণগণনার আয়োজন। তবে এই আয়োজনে জনসমাগম সীমিত থাকবে। সেখানে উপস্থিত হওয়া ব্যক্তিদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে এবং করোনার টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। ১৯০৪ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের উদ্যাপন হয়ে আসছে।
অস্ট্রেলিয়া নতুন বর্ষ উদ্যাপনের আনন্দ করলেও এশিয়ার দেশগুলোয় অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যরাতে ঘণ্টা বাজানোর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটির জনগণকে মাস্ক পরতে ও অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অমিক্রনের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। নতুন বছর শুরুর আগেই দারুণ সুখবর শুনিয়েছে দেশটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় অমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এ খবর জানিয়ে দেশটির সরকার অমিক্রনের ঢেউ কাটিয়ে ওঠার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর কাছে ২০২২ সাল নতুন আশা নিয়ে এসেছে।