নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ১০০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটিত হয়েছে। নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মূল্য সংযোজনকর এই ফাঁকি উদঘাটন করেছে।
নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএফএম আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বিমা খাতের গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তার দপ্তর গুরুত্ব সহকারে বিষয়টির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। কোম্পানির শেষ ৫ অর্থবছরের কার্যক্রম নিরীক্ষায় ১০০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটিত হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এজেন্ট কমিশনের নাম করে এবং রি-ইন্স্যুরেন্স এর কমিশনের ওপর ভ্যাটসহ পৃথকভাবে এ বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি এজেন্ট কমিশনের নাম করে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে (পঞ্জিকা বর্ষে) এবং রি- ইন্স্যুরেন্সের কমিশনের ওপর ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ ফাঁকি দিয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ রাজস্ব পরিশোধে প্রতিষ্ঠানের নামে দাবিনামা (ডিমান্ড নোট) ও কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হচ্ছে।
কোম্পানিটির বার্ষিক প্রতিবেদনে এজেন্ট কমিশনকে সেবা খাত উল্লেখ করে সেবা কোড দেখিয়েছে। বলেছে, এজেন্ট কমিশন সেবা কোডের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
কিন্তু এনবিআরের এসআরও বা সাধারণ আদেশ ২৪/মূসক/২০১৩ বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য বিবিধ সেবা’ শিরোনামে সেবা কোড ৯৯.২০ বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), ব্যাংক, বিমা বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে উৎসে মূসক প্রযোজ্য।
এজেন্ট কমিশন নামে কোন সেবা কোড এনবিআরের এসআরও বা সাধারণ আদেশে উল্লেখ করা হয়। সেজন্য মূসক আইন ১৯৯১ অনুযায়ী এজেন্ট কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ উৎসে মূসক প্রযোজ্য।