নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি বন্যা হলে সেটা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সংশ্নিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত ও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার গণভবনে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও সচিবরা অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাক্ষরের দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের কাছে বিপদসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে। তিনি বলেন, ভারতের আবহাওয়া বিভাগের অনুমান আছে, আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্টভাবে সংশ্নিষ্টদের সতর্ক করেছেন, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অধীনে পুনর্বাসন কর্মসূচি রয়েছে। একটি প্রকল্পের অধীনে তিনটি কাজ বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। এর একটি হলো ঘরবাড়ি পুননির্মাণ। আরেকটি হলো স্থানীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। সেখানে বড় অঙ্কের টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় তা তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা বড় ধরনের পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে। প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন, আমনের বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বীজতলা একটু উঁচু জায়গায় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন। রোপা আমন ঠিকঠাক হলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা কমবে। গতবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার ৩৬ লাখ টন। সে তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।