নয়াবার্তা প্রতিবেদক : প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৯২ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতকাল ২১ এপ্রিল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ঈদুল ফিতর ঘিরে এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার গতি ছিল বেশি। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে আসে ৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। পরের সপ্তাহে গতি কমে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে দেশে আসা প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৫ ডলারে। তথ্যমতে, এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। একক ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। কোনো প্রবাসী আয় আসেনি বিদেশি উরি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও হাবিব ব্যাংকের মাধ্যমে। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি ব্যাংক ও বিডিবিএল ব্যাংকের মাধ্যমেও কোন প্রবাসী আয় আসেনি।
এর আগে সর্বশেষ মার্চ মাসের পুরো সময়ে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা মোট ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, আগস্ট মাসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, এবং জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার বা ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার বা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার বা ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে আসা সর্বোচ্চ। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মহামারী করোনার কারণে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল।