ঝালকাঠি প্রতিনিধি : রাজাপুরের কানুদাশকাঠি এলাকায় বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। নিহতরা হলেন- বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার মেহেদী হাসান ও যাত্রী পাভেল। আহতদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর সেখানে আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
আহত বাস যাত্রীরা জানান, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে সকালে যাত্রা শুরু করে বাসটি। ছাড়ার পর থেকে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় কয়েক দফা। এ কারণে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে বরিশাল-পাথরঘাটা সড়কের কানুদাশকাঠি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। এতে দুমড়েমুচড়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের ড্রাইভার সাবু মোল্লা (৪০), সাথী (৩৩), ইমু (২০), মোমেনা (৪৫), তানজিলা (৩১), অমল দেবনাথ (৫৮), মন্টু হাওলাদার (৫৫), শহিদুল খান (৫৭), রাহুল (৪০), জাহানারা বেগম (৫৫), কবির মোল্লা (৩৫), কাওছার (৩২) ও রিতা দেবনাথ (৩৫)। আহতদের মধ্যে দুজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজনকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন, দুর্ঘটনায় বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার মেহেদী ও পাভেল নামে বাসের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।
রাজাপুর থানার ওসি পুলিক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজার ও একবাস যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ১০-১২ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে।