নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : মশা গুনগুন করে কানের কাছে বেশ গান শোনাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মশার প্রাদুর্ভাবটা আস্তে আস্তে শুরু হবে। তারপর আসবে ডেঙ্গু। এ ব্যাপারে এখন থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিব, ৮টি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে যখন প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিন্তু আরও সতর্ক থাকবে হবে, যেহেতু মেয়র সাহেব আছেন সেখানে, আমি বলছি, কালকে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন মাঝে মাঝেই দেখলাম মশারা সংগীতচর্চা করছে। মশার গান শুনলাম। গুনগুন করে কানের কাছে বেশ গান গাচ্ছিল। অর্থাৎ মশার প্রাদুর্ভাবটা কিন্তু আস্তে আস্তে শুরু হবে। তারপর আসবে ডেঙ্গু। এ ব্যাপারগুলো আমাদের এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তো আছেনই, সে সাথে যারা এর সাথে, মশার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য এখন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যারা আছে তাদের বলব সকলে যেন মশারি টানিয়ে ঘুমান। অনেকে এখন মশারি ব্যবহার করে না। শুধু মশার ওষুধ দেয় বা কয়েল জ্বালায় বা মশার ওষুধ ছিটায়। আসলে সেটাও তো নিশ্বাস-প্রশ্বাসে যায়। সে জন্য প্রত্যেকে যেন মশারি টানিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত করেন। কারণ করোনার সাথে যদি আবার মশা যোগ হয়, ডেঙ্গু আসে, সেটা আমাদের জন্য আরও মারাত্মক হয়ে যাবে। সেটা যেন না আসতে পারে, সে জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একান্তভাবে দরকার। নিজের বাড়িঘর শুধু না, যে যে এলাকায় বাস করছে, আশপাশে কোথাও যেন পানি বা জলাবদ্ধতা না থাকে, মশার প্রজনন যেন না থাকে, ডিম পাড়ার সুযোগ যেন না পায়, সে জন্য সবার দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রশাসনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি, সবার প্রতি অনুরোধ থাকল।’