জামালপুর প্রতিনিধি : আদালতের আদেশ অমান্য করায় জামালপুর জেলা সদরের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মো. বরকত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জামালপুর সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সাবেক এক ভূমি সহকারী কর্মকর্তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শামসুন নাহার।
জামালপুর পৌর শহরের শাহপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ফজলুল আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের অভিযোগ, ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর জামালপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে ‘অন্য প্রকার’ একটি মামলায় রায় পান তিনি। ওই রায়ে আদালতে বাদীপক্ষের নামে তার জমির পৃথক খতিয়ান খোলার আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শামসুন নাহার জামালপুর সদরের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বরাবর খতিয়ান খোলার আবেদন করেন।
ভুক্তভোগী শামসুন নাহারের অভিযোগ, খতিয়ান খুলে না দিয়ে এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহ নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে এসিল্যান্ড খতিয়ান খুলতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে তিনি বাধ্য হয়ে (২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর) সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেনডেটরি (বাধ্যকর) মামলা দায়ের করেন। গত ২ মার্চ আদালত সেই মামলার রায় দেন। রায়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে নালিশি তফসিল বর্ণিত ভূমি শামসুন নাহার গংদের নামে পৃথক হোল্ডিং খুলে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণের আদেশ দেন; কিন্তু এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহ এক মাসেও আদালতে সেই আদেশ আমলে নেননি। উপরন্তু বাদীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের নামে হোল্ডিং খুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
ফলে ভুক্তভোগী শামসুন নাহার বাধ্য হয়ে গত ২ এপ্রিল জামালপুর সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে ওই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আদালত লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী মোকাম্মেল হক জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করলেন কেন, সেজন্য আদালত বিবাদী এসিল্যান্ডকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. বরকত উল্লাহ বলেন, মামলা হতেই পারে। তবে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের মামলার বিষয়ে তিনি এখনো অবগত হননি বা নোটিশও হাতে পাননি।