নয়াবার্তা প্রতিবেদক : সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি জাহাজের নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার করেছেন মালিকপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ শনিবার নগরের আগ্রাবাদে পার্ল হারবার হোটেলে এই ইফতার মাহফিল হয়। সেখানে নাবিকদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তারা।
ভারত মহাসাগর থেকে ১২ মার্চ কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। জাহাজটি এখন সোমালিয়ার উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনার পরদিন জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্নভাবে মালিকপক্ষের সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের সবাইকে একসঙ্গে ডেকে প্রথমবার মালিকপক্ষ আশ্বস্ত করল।
জিম্মি নাবিকদের পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে জানান, ইফতার মাহফিলে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জিম্মি নাবিকদের কারও স্ত্রী, কারও ভাই, কারও মা-বাবা এতে অংশ নেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ইফতারের প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফেরাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ইফতারে অংশ নেওয়া একজন জানান, ইফতার মাহফিলের আগে মালিকপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের প্রিয়জনকে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। আমরা আশা করছি, কম সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় আপনাদের প্রিয়জনকে ফিরিয়ে আনতে পারব।’
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত একজন জানান, পার্ল হারবার হোটেলে ১০০ জনের ইফতারের জন্য বুকিং ছিল। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯৭ জন। এতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ২২ নাবিকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মালিকপক্ষের কয়েক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন এতে।
এর আগেও কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২০১০ সালে ছিনতাই করার ১০০ দিনের মাথায় নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করে আনে গ্রুপটি।