নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ছয় মাসের যে জামিন দেওয়া হয়েছিলো তা বাতিল করেছে আদালত।
রবিবার দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মাদক এবং অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার প্রভাবশালী ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম।
এক মাস আগে দুইটি মামলায় জামিন পেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানতো না রাষ্ট্রপক্ষ। নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিলের পরই বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপরই জি কে শামীমের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ঐ অভিযানে জি কে শামীমসহ যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন
শামীমকে নিকেতন অফিস থেকে গ্রেফতারের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারটি মামলা করা হয়। এই চারটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর হাইকোর্টে জামিন চান।
এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শামীমকে ছয় মাসের জামিন দেয়।
এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, আমরা নিম্ন আদালতের আদেশ ও জামিন আবেদন পর্যালোচনা করলাম। জামিন আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্যে সারবত্ত্বা থাকায় আবেদন মঞ্জুর করা হলো। ২৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জামিন না মঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ পাওয়ার মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চান শামীম। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৪ ফেব্রুয়ারি তার এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে।