নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়বকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তাকে ভারপ্রাপ্ত খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) সুমী আহমেদের ভার্চুয়াল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ আদেশ দেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম সাংবাদিক আবু তৈয়বকে কারাগারে প্রেরণের কথা স্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার আবু তৈয়বকে বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) ভার্চুয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক সাংবাদিক আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খুলনা থানা পুলিশ নগরীর নূর নগর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদি খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, গত দু-তিন দিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক আবু তৈয়ব আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা খবর ও কুৎসা প্রচার করেছে। এতে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আমি তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছি।
এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব তার ফেসবুক ওয়ালে মুনষ্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: এর শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে প্রতিবেদন করেন। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, মুনষ্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: শুল্ক ফাঁকি দেয়ায় মংলা কাষ্টম হাউস কর্তৃপক্ষ আড়াই কোটি টাকা অর্থদন্ড সহ বন্ড লাইসেন্স বাতিল করে পাচঁ কোটি ৫৩ লাখ টাকার দাবি নামা দিয়েছে ।ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, খুলনা সিটি মেয়র এই প্রতিষ্টানের সাথে আগে জড়িত ছিলেন বর্তমানে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। তবে বন্ড লাইসেন্সে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে সিটি মেয়রের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে ।