নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করা করা হিসেবের বরাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এতথ্য জানানো হয়।
গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৭২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ হিসেবে প্রতি ঘন্টায় ৬৬ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ১ হাজার ৬১৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪৯ জনে দাঁড়াল। তবে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সারাদেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে ১ হাজার ৫৭২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫০ জন এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৮২২ জন ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৮৫৯ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও ৬ হাজার ৪৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে রাজধানীর ৪১ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৪১৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৩ হাজার ৫৭ রোগী ভর্তি আছেন।
ঢাকা বিভাগে ৫ হাজার ৬১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ৪ হাজার ২৬৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৯৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ২৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৭০৬ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। রাজশাহী বিভাগে ২ হাজার ৫০২ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২১৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
রংপুর বিভাগে বিভাগে ১ হাজার ৪৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৬৮ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ৮৫৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
সিলেট বিভাগে ৬৩৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৭৭ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। আর ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ৫৪৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।