নিজস্ব প্রতিবেদক : গজারির লাঠি দিয়ে সিএন্ডএফ এর মালিককে প্রহার করায় পাঁচ শতাধিক সিএন্ডএফ কর্মী সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা কাস্টমস হাউস অবরোধ করে রাখে। এ সময় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা কাস্টমস হাউসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। ঢাকা কাস্টমস হাউসের দোতলায় অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমানের রুমের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কাস্টমস এজেন্টরা কাস্টমস হাউসের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভও করেন। তাদের দাবি অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমানের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার এবং তাৎক্ষনিক অপসারণ।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা ঢাকা কাস্টমস হাউসে ফাইল ছাড়াতে পদে পদে হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। প্রায় ১০দিন আগে সিএন্ডএফ এজেন্ট বারী এন্টার প্রাইজ ১৩ ডলার মূল্যমুলে একটি গার্মেন্টস এক্সসরিজ পণ্য ছাড় করায়। সোমবার অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমান বারী এন্টার প্রাইজের মালিক আনিসুর রহমানকে তার কক্ষে তলব করেন। তিনি দাবি করেন, ছাড়কৃত পণ্যে প্রতি কেজিতে ১ ডলার করে আন্ডার ইনভয়েস করা হয়েছে। যুগ্নকমিশনার এই অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেন। আনিসুর রহমান এবক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, এইচএস কোর্ড অনুযায়ী নির্ধারিত শুল্ক প্রদান করে মালামাল ছাড় করিয়েছি। এখন ডেলিভারি পেপার নিয়ে এ প্রশ্ন তুলছেন কেন? মাল ছাড়ের আগে এ প্রশ্ন করেননি কেন? তার এবক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে যুগ্নকমিশনার মাহবুবুর রহমান নিজের টেবিলের নীচে রাখা গজারির লাঠি বের করে আনিসুর রহমানকে দু’দফা প্রহার করেন। আনিসুর রহমান বাইরে এসে এরকম অভিযোগ করলে মূহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শত শত কাস্টমস সরকার এবং সিএন্ডএফ মালিকরা শ্লোগান দিয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউস ঘেরাও করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা মাহবুবুর রহমানের করে জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় প্রায় ৬ ঘণ্টা নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন কাস্টমসের অন্য কর্মকর্তারা।
ঢাকা কাস্টমস হাউস ও সিঅ্যান্ডএফ সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে আসা মালামাল ছাড়াতে যারপরনাই হয়রানি করেন ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিকাল থেকে এজেন্টরা বিােভ শুরু করলে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকও করেন কাস্টমস হাউসের কমিশনার।