নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযুক্ত সাবেক স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ এসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার আশ্বাসে ওই নারীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফিরোজ উজ জামান (৩৪) উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি ঢাকার বনানীতে আরশীনগর বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত।
ভুক্তভোগী নারী জানান, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ফিরোজের আচরণ পরিবর্তন হতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার আরও দুজন স্ত্রী রয়েছেন। যে কারণে ২০ মার্চ উভয়ের সম্মতিতে চার লাখ টাকার দেনমোহরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়ে যায়।
কিন্তু ডিভোর্সের দুই দিন পর ওই নারীর ঢাকার মুগদা মান্ডা এলাকার বাসায় আসেন ফিরোজ। তাকে আবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেন। যে কারণে তিনি ২৪ মার্চ ঢাকার মুগদা থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলা হওয়ার পর ফিরোজ ওই নারীকে মামলা তুলে নিয়ে আবার সংসার করার জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন।
গত ৫ আগস্ট ফিরোজ বোনের অসুস্থতার কথা বলে কুমারখালীতে তার গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। রোখশানা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থান করছেন। ফলে গত বৃহস্পতিবার ফিরোজের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নারী। পরের দিন গতকাল শুক্রবার কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ফিরোজের বড় ভাই ফারুখ বলেন, তার ভাই তিনটি বিয়ে করেছেন। তবে কোনোটাই পারিবারিকভাবে দেওয়া হয়নি। তিনি ইচ্ছামতো বিয়ে করেন এবং ছেড়ে দেন। ভাইয়ের এমন আচরণের কারণে পরিবারের কেউ তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যেহেতু ভুক্তভোগী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন, তাই কোনোভাবেই বাদী ও আসামি একই বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন না। যে কারণে বাদীকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকা মুগদা থানার নির্দেশনা পেলে ফিরোজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।