তৃতীয় দিনশেষে ধৈর্য্যের ফল পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ৫৪১ রানে ম্যাচ ডিক্লেয়ার করার পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী, তাসকিন আহমেদ এবং এবাদত হোসেন। এই দুই পেসারের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলামও। পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বল হাতে উইকেটের মুখ দেখেছেন এবাদত এবং রাহী বাদে বাদে বাকি তিনজনই, লঙ্কানদের সংগ্রহ ২২৯, তিন উইকেটের বিনিময়ে।

দিনের শুরুতেই ৪৭৪ রান স্কোরবোর্ডে থাকা অবস্থায় ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ব্যাটিং করে দলকে নিরাপদ সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। লিটন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পর ফিরে গেলেও কিছুক্ষণ এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশফিক। এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৬৮ রানে থাকার সময়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ, দলীয় স্কোর তখন সাত উইকেটের বিনিময়ে ৫৪১।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করেছিলো শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পেসারদের চাপ সামলে ১১৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক দিমুঠ করুণারত্মে এবং ওপেনার লাহিরু থিরামান্নে। তবে সেই জুটি ভাঙেন মিরাজ, লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন থিরামান্নে। পরে লাইন লেন্থে বোলিং করার সুফল পেয়েছেন তাসকিনও। ৫৪তম ওভারে তিনে নামা ব্যাটসম্যান ওশাদা ফার্নান্দোকে বিভ্রান্ত করে বল উইকেটরক্ষকের হাতে জমা করার ব্যবস্থা করেন এই পেসার। ঠিক ৬৩তম ওভারে আঘাত হানেন তাইজুল, ফিরিয়ে দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউসকে। বল কোথায় পড়বে সেটি আন্দাজ করতে কিছুটা গড়মিল হতেই ব্যাট আর প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করে তাইজুলের সেই ডেলিভারি। ফলে ১৯০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দিনশেষে এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক করুণারত্নে অপরাজিত ৮৫ রানে। আর পাঁচে ছয়ে ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও কিছুটা মারকুটে খেলে ৩০ বলে ২৬ রান আদায় করায় আগামীকাল স্কোরবোর্ডে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২২৯ রান নিয়ে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ অবশ্যই চাইবে এমন বোলিং আক্রমণ করে চাপ ধরে রাখতে। আগামীকাল বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারলে টেস্ট জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী থাকতে পারে মুমিনুলরা।

Share