নয়াবার্তা প্রতিবেদক : আগের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবে দুর্নীতি কমলেও চাঁদাবাজি তেমন একটা কমেনি বলে তিনি মনে করেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে বলে সময় একটু লাগছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্প ধীরগতিতে এগোলে অর্থ প্রবাহ বাড়বে না। অর্থ প্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আগে ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বাড়ানো, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি কোথায় যায় এবং একজন অফিসার কয়টা করে জিপ গাড়ি ব্যবহার করেন এসব খুঁজে বের করা হবে। এজন্য একনেক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, জেলা-উপজেলাসহ সারা দেশে সরকারি গাড়ি আছে তার একটি তালিকা করা হবে। দেখা হবে কোন গাড়ি কোথায় আছে, কতদিন কার্যকর থাকে সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইল পর্যন্ত হয়ে স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশি অর্থায়ন আছে। সুদের হারও কম। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩, ৪ ও ৫শ’ শিক্ষক সবাই ভিসি, প্রোভিসি হতে চান। তারা পড়াতে চান না কেউ। এটা কেন হচ্ছে। কই আমি তো কখনও ভিসি হতে চাইনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব আছে। আমরা এখন বিবিএসের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তারা যে হিসাব নিয়ে আসে আমি আইনগতভাবে শুধু স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই দেখি না।
তিনি আরও বলেন, দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ কম। এক্ষেত্রে আমরাও অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নিচ্ছি। আবার যেসব রাজনৈতিক প্রকল্প আছে কিন্তু এখনো শুরু হয়নি সেগুলো নেওয়া হচ্ছে না। যেসব রাজনৈতিক প্রকল্পের কাজ শেষের পথে সেগুলো প্রয়োজনীয়তা না থাকলে শেষ করা হচ্ছে। ফলে সরকারি বিনিয়োগও কম হচ্ছে।