নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশীয় প্রতিটি উদ্ভিদ এবং প্রাণী সংরক্ষণ করা হবে। জাতীয় এসব সম্পদ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সংরক্ষণে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ, শামুক-ঝিনুকও বাদ দেওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতি পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন তিনি। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি। অন্যান্য মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের একনেক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশজ সব উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, দেশটি কেবল মানুষের জন্যই নয়। সব প্রাণীরই অধিকার আছে এখানে। শামুক নিয়ে প্রকল্প আছে। ঝিনুককেও এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ, শামুকের মতো ঝিনুকেরও অর্থকরী মূল্য আছে। কাকড়াও বাদ যাবে না।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ”একনেকে অনুমোদিত ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে চাষের দেশি মাছের প্রদর্শনী করা হবে। ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে এর মাধ্যমে। মৎস্য অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পটিসহ মোট চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ে সরকারের নিজস্ব ৪৪১ কোটি টাকা। বাকি বিদেশি ঋণ ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।”
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি) : রাজউক (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’ এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর এর অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প’।
বৈঠকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা এবং সংশোধনীর কারণ ব্যাখা করেন তারা।